কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা ঋষভ বসু। বর্তমানে নিজের প্রথম তেলুগু সিনেমা ‘দক্ষিণা’ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেতা। সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে পূজার আগে। প্রচারের কাজে হায়দরাবাদে ছিলেন অভিনেতা।

গতকাল ছিল তার জন্মদিন। জন্মদিনে বিকেলের বিমানে ফিরেছেন কলকাতায়। ফিরেই কলকাতার এক গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে কথা বললেন ঋষভ।

কলকাতা ফিরতেই সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় ঋষভের সঙ্গে।

তাকে বলা হয়, বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। উত্তরে ঋষভ বলেন, “আমি ওঁর ছবির, ওঁর অভিনয়ের ভক্ত। বাংলাদেশে সদ্য ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের সময় আলাপ। কথা হতো।বাঁধন তখন জানিয়েছিলেন, সিরিজ ‘শ্রীকান্ত’সহ আমার একাধিক কাজ তিনি দেখেছেন। ভালো লেগেছে। সেই জায়গা থেকেই হয়তো শুভেচ্ছা।”

এ বছরের জন্মদিন অনেকটাই অন্য রকম ঋষভের। একদিকে নতুন সিনেমার প্রচার।

অন্যদিকে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে অংশগ্রহণ। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘জন্মদিন মানেই এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। এ বছরের জন্মদিন আমাকে আরো পরিণতমনস্ক করে দিল। আন্দোলনে অংশ নিচ্ছি। সেখানে দায়িত্ব পালন করছি। কোনো দিন ভাবিনি, শহরের এই প্রতিবাদী রূপের সাক্ষী থাকব।’

এ বছর আর জন্মদিনের কেক কাটবেন না ঋষভ। উপহার দেওয়া-নেওয়ার ঝুলিটাও এ বছর ফাঁকাই থাকবে হয়তো। মায়ের হাতের পায়েস আর পায়ে পায়ে প্রতিবাদ— এসব দিয়ে ভিন্ন স্বাদের উদ্‌যাপন তার। কথায় কথায় এটাও জানালেন, তার দক্ষিণী সিনেমার বিষয়ও সিরিয়াল কিলার আর পুলিশ নিয়ে। খুনি শুধু মেয়েদের খুন করে। তাকে ধরতে প্রশাসনের হিমশিম দশা। স্বাভাবিকভাবেই প্রচারেও বারবার আরজি কর-কাণ্ড উঠে এসেছে।

আলাপকালে বিয়ের প্রসঙ্গে উঠতেই ঋষভ জবাব দেন, ‘এখনই বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়লে বাঁধন কি আর আমায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবেন?’

রীতিমতো বাঁধনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে রহস্য রেখেই আলাপ শেষ করলেন ওপার বাংলার এই অভিনেতা।

‘ভটভটি’ সিনেমায় প্রথমবার নজর কাড়েন অভিনেতা ঋষভ বসু। এরপর ‘শ্রীকান্ত’, ‘মহাভারত মার্ডাস’ থেকে শুরু করে ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস্ ঋতুপর্ণা’র মতো একাধিক সিনেমায় এবং ওয়েব সিরিজে দেখা গেছে ঋষভ বসুকে। এবার বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে পাড়ি জমাতে চলেছেন এই অভিনেতা।